পাথরের মাঠ পরীক্ষা

পাথরের মাঠ পরীক্ষা

নির্মাণ কাজের আগে পাথর সম্পর্কে ভালোভাবে জানা ও পরীক্ষা করে নেওয়া অতি জরুরি।

মাঠ যাচাইয়ের মাধ্যমে পাথরের মান পরীক্ষার পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো-

১। ওজন পরীক্ষাঃ সমান আকারের আলাদা শ্রেণীর দুটি পাথরের টুকরা ওজন করলে বা হাতে নিলে, যেই টুকরাটি বেশি ভারী হবে সেটাই ভাল পাথর। কারণ, ভালো পাথরের ছিদ্র কম থাকায় ওজন একটু বেশি হয়।

২। দর্শনে: ভালো পাথরের ভাঙ্গা অংশগুলোর পৃষ্ঠ দেখতে সমতল হয় এবং দানাগুলো স্পষ্ট দৃশ্য হয়। এবং যে পাথরের গায়ে ফাটল দেখা যায় ঐ পাথর নির্মাণ কার্যের জন্য ব্যবহার অনুপযোগী।

৩। ঘর্ষণ করে: একটি পাথরকে অন্য একটি পাথর দ্বারা ঘর্ষণ করলে যদি পাথর ক্ষয়প্রাপ্ত হয় তবে পাথরটি খারাপ বলে বিবেচিত হবে। এবং ক্ষয়প্রাপ্ত না হলে সেগুলো ভালো পাথর বলে বিবেচিত হয়। পাথরকে অন্য পাথর দ্বারা ঘর্ষণের ফলে অধিক ধুলাবালি সৃষ্টি হলেও খারাপ বলে বিবেচিত হবে ।

৪। আঘাত মাধ্যমে: একটি পাথরকে অন্য একটি পাথর দিয়ে আঘাত করলে বা হাতুড়ির সাহায্যে আঘাত করলে ধাতুর আঘাতের ন্যায় শব্দ হলে সেটা ভালো পাথর।

৫। আঁচড় কেটেঃ পাথরের গায়ে চাকু বা ছুরি দ্বারা আঁচড় দিলে যদি সহজে দাগ পড়ে তবে তা নির্মাণের জন্য অনুপযোগী বলে বিবেচিত হয়।

৬। পাথর ভেঙ্গে: যেই পাথরগুলো ভাঙতে শক্ত অনুভব হয় সেগুলো ভালো পাথর। কারন, যে পাথরগুলোর মাঝে ফাকা কম সেগুলো ভাঙতে ফাকা পাথরগুলোর তুলোনায় অধিক কষ্টসাধ্য।

৭। উন্মুক্ত পাথরঃ দীর্ঘদিন উন্মুক্ত পাথরের খাদ দেখে বুঝা যায় যা ঐ খাদের পাথরের উপর আবহাওয়ার প্রতিক্রিয়া কি রুপ। দীর্ঘদিন উন্মুক্ত পাথরগুলো নির্মাণ কাজে ব্যবহার অনুপযোগী।

৮। পুরাতন ইমারত দর্শনেঃ যে পাথরগুলোর গায়ে পুরাতন ইমারত দেখা যায় সেই পাথরগুলো নির্মান কাজে ব্যবহার অনুপযোগী।